১ ম বন্ধু ফাইয়াজ এর সাথে আমার পরিচয় ।
২০১৪ সালের শেষে ফাইয়াজের সাথে আমার পরিচয় খেলাধুলার মাধ্যমে
আমি তখন ঢাকা থেকে এসে একটা নতুন একাডেমীতে ভতি হলাম একাডেমীর নাম টা হল শতাব্দী ক্রিকেট একাডেমী। তো সেখানে আমি রেগুলার ক্রিকেট প্যাকটিস করতাম। একদিন কোচ আমাদের ডেকে বলে কালকে তোমারদের পিকনিক করবো তার সাথে আবার একাডেমীর নেকট গুলো ঠিকভাবে বাধঁবো সো সবাই যেন কালকে আসবা।
তার পর দিন সবাই গেল আমি সহ, তারপর কোচ আমাদের কে নেট লাগানোর জন্য ঐইখানে গত করতে বলে। তো সেখানে আমাকওে গিয়ে গত করার জন্য বলে । তারপর আমি সেখানে যাই।
গিয়ে দেখি একটা কাল ছেলে কে সবাই ক্ষেপাচ্ছে আমাকে ছাড়া তারপর আমি ওর পক্ষ নিলাম।এর দেখি সে আমার পাশে এসে গত করতেছে। তারপর আমি তাকে জিঙ্গেস করলাম ভাই আপনার নাম কি? সে বলল আমার নাম ফাইয়াজ, তারপর আমি আমার নাম বললাম. তারপর থেকে আপনি থেকে তুমি হয়ে গেলাম, তারপর তুই তে চলে আসলাম, এভাবেই ফাইয়াজের সাথে আমার বন্ধুর সম্পকটা গভীর হয়ে গেল.
একদিন সবাই মিলে ওয়াজেদিয়া গেলাম একটা অনুষ্ঠানে সবার দাওয়াত ছিল। তো সেখানে আমি আর ফাইয়াজ গেছিলাম। সেখান থেকে ফাইয়াজের বাসা খুবই কাছে ছিল আর আমার বাসা অনেক দূরে তো ফাইয়াজ কে বললাম ফাইয়াজ তুই বাসায় চলে যা । আমার বাসায় আমি যেতে পারবে।
সে আমাকে বললো ঠিক আছে। তারপর চলে গেলাম. পেছন থেকে দেখি ফাইয়াজ আমার কাদে হাত দিয়ে বলল চল তোকে বাসায় এগিয়ে দিয়ে আসি তারপর আমি যাব। তারপর থেকে আমি বুঝতে পারলাম যে ফাইয়াজ আসলেই প্রকৃত বন্ধু।
সো তাপর থেকে একসাথে নেটে ড্রিল করতে থাকলাম তাকে আমার পাটনার বানিয়ে। এভাবেই আমাদের বন্ধুর সম্পকটা আর বেশি গাড় হয়ে গেল। তারপর একসাথে আমি আর ফাইয়াজ ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম প্রথম বিভাগ ক্রিকেট টিমে প্যাকটিস করতে থাকলাম। সেইবার কার কোন প্রকার লিগ খেলা হয়নি কিছু কারনে।
তার পর আবার পরবতী বছরের জন্য প্রাকটিস করতে থাকলাম। সেভার খুবই কঠোর পরিশ্রম করিছিলাম।
তারপর থেকে আমি, ফাইয়াজ আর অন্যন্য বন্ধুরা মিলে প্রত্যেক শুক্রবার মিলে ঘুরতে যেতাম,
কখনও অনন্যা আবাসিক, কখনও সীবিচ, নেভাল, কনফুলীর তীরে সেটাই খুবই মজারদার হতো আমাাদের সকল বন্ধুদের জন্য। আমরা তার জন্য আলাদা করে সবাই ফান্ডে টাকা জমাতাম
সেই জমানো টাকা দিয়েই আমরা ঘুরতাম। তো সেখানের মধ্যে যাকে সবচেয়ে বেশি পচানো হতো
সেই আমাদের সবার মধ্যমনি ফাইয়াজ।
ফাইয়াজ মানে জোকস..
একদিন আমরা প্লান করলাম যে আমরা সবাই মিলে শিকলবাহা যাব, সেখানে যাওয়া আসার খরচ লাগে লোকালে গেলে ১০০টাকা মানে বেঙ্গে বেঙ্গে যেতে হয় তো সবাই মিলে টাকা নিলাম ১০০,করে আর আমাদের মধ্যমনি ফেন্ড ফাইয়াজ নিল মাত্র ২০টাকা। সবাইতো অনেক ক্ষেপা তার উপর তারপর আমি আব্বুকে ফোন করে বল্লাম যেন আমার মোবাইলে ২০০টাকা পাঠায়, তারপর আব্বুকে আমার ফোনে ২০০ টাকা পাঠালো ঐই টাকা দিয়ে ঘুরলাম সবাই মিলে অনেক মজা করলাম।
মেলায় ঘুরার সময় লক্ষ্য করলাম যে মজাররে অপর পাশে খুব ভিড় সবাই দল বেধেঁ আছে সেখানে গিয়ে দেখলাম যে একটা বৃদ্ধ লোক বসে আছে মুড়ির প্যাকেট নিয়ে, সবাই তার সাথে বসে আছে অনেক লোক তারপর দেখলাম যে, একজন একজন তার কাছে আসছে তার পর সে সূরা পরে ফু দিয়ে মাথায় হাত বুলায় তার জোরে একটা থাপ্পর মাড়ে.
তারপর সবাই মিলে প্লান করলাম যে মুড়ি খাব, কিন্তু সবাই ফাইয়াজের দিকে তাকালাম।তারপর সে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল সবাই আমাকে বলির পাঠা বানাও। তোমরা নিজে তো কিছু পারনা।
শেষ পযন্ত আমাদের ফাইয়াজ বসলো ঐ লোকটার কাছে,
তারপর ফাইয়াজকে মাথায় হাতবুলায় জোরে একটা থাপ্পর দিল,সাথে সাথে সাকিব সেটা ভিডিও করলো।তার পর মুড়ি খেলাম।শেষমেষ সেখান থেকে ফিরে আসলাম..
তারপর ফাইয়াজের জীবনে কালবৈশাখীর জড় নেমে আসলো।তার এইচ এস সি পরিক্ষার সময় তার আব্বু মারা গেল.....তার কয়েক বছর পর ২০১৯ সালে এ তার মা হাট এ্যাটাক করে মারা গেল।
তার বতমানে তার বতমানে তার বড়,ভাই এক ছোন বোন, আর আমরা ছাড়া কেউই নেই।
দোয়া করবেন যেন আমরা আমাদের ফেন্ড সাকেল নিয়ে আজীবন থাকতে পারি।
আর আমার লেখা বাস্তবিক গল্পটা কেমন হলো? সবাই মাতমত দিবেন আশা করি আমি এই গল্পপা বাস্তবিক আমার বন্ধুর ফাইয়াজের জীবন থেকে নিয়ে লেখলাম।
পরবতী লেখবো আমার আরেক ফ্রেন্ড সাকিব কে নিয়ে, আর আমার লেখায় ভূল থাকতে পারে আশা করি ক্ষমার চোখে দেখবেন।
ধন্যবাদ,
আমার লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য
লেখক সাইফুল ইসলাম তুহিন।
Labels: story
0 Comments:
Post a Comment
Subscribe to Post Comments [Atom]
<< Home